শীতে ঘরে বসে ত্বকের যত্ন কিভাবে করবেন
আপনি একদম সঠিক পোস্ট এ আসসেন,এই পোস্ট এ শীতে ঘরে বসে ত্বকের যত্ন কিভাবে করবেন। তা প্রারাতিক ভাবে বলা হয়ছে।শীতকালে ত্বকের যত্ন নেওয়া খুবই জরুরি, কারণ এই সময়ে ঠান্ডা ও শুষ্ক আবহাওয়া ত্বককে শুষ্ক, ফাটা এবং রুক্ষ করে তোলে।
শীতের হিমেল পরশ যখন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে, ত্বকের ওপরও তখন এর প্রভাব পড়ে। তাই শীতে ঘরে বসে ত্বকের যত্ন কিভাবে করবেন ও প্রকৃতির প্রদত্ত সহজলভ্য উপাদান এবং কিছু সহজ রূপচর্চা রুটিন অনুসরণ করে আমরা ত্বককে উজ্জ্বল, কোমল, ও সজীব রাখতে পারি। শীতে ঘরে বসে ত্বকের যত্ন কিভাবে করবেন তা বিস্তারিত জানতে নিচে জান।
শীতে ঘরে বসে ত্বকের যত্ন কিভাবে করবেন পেজসুচিপত্র
- শীতে মৃদু ক্লিনজার দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করুন
- শীতে কিভাবে মৃদু কোষ দূর করবেন
- ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার কিভাবে করবেন
- শীতে প্রাকৃতিক তেল দিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করবেন
- শীতে ঘরে বসে সানস্ক্রিন কিভাবে ব্যবহার করবেন
- শীতে ফেসিয়াল অয়েল ব্যবহার করার উপকার
- শীতে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করবেন
- শীতে পর্যাপ্ত পানি পান করা জরুরি
- অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যুক্ত খাদ্য গ্রহণ করবেন
- শীতেকালে ঘুমালে ত্বকের উপর কি প্রভাব পরবে
- শীতে ঘরের ভেতরে প্রচুর গরম রাখতে হবে
- শীতে মুখে ফেস মাস্ক ব্যবহার করার উপকার
- শেষ কথা
শীতে মৃদু ক্লিনজার দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করুন
শীতকালে ত্বক ক্লিনজ করার সময় মৃদু ক্লিনজার ব্যবহার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ সাধারণ ক্লিনজার ত্বকের প্রাকৃতিক তেলগুলোও সরিয়ে নিতে পারে। শীতের শুষ্ক আবহাওয়া এমনিতেই ত্বকের আর্দ্রতা কমিয়ে দেয়, তাই একটি হাইড্রেটিং বা ক্রিম-বেসড ক্লিনজার বেছে নেওয়া ভালো। এটি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখবে এবং শীতকালীন শুষ্কতা থেকে ত্বককে রক্ষা করবে। ক্লিনজারের উপাদান হিসেবে অ্যালোভেরা বা হায়ালুরোনিক অ্যাসিড যুক্ত ক্লিনজার হলে তা আরও ভালো ফল দেয়।
ত্বক পরিষ্কারের সময় গরম পানি ব্যবহার না করা উত্তম, কারণ গরম পানি ত্বককে আরও শুষ্ক করে তুলতে পারে। তার পরিবর্তে, কুসুম গরম পানি বা ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে পারেন। এছাড়া, দিনে দুবার ত্বক ক্লিনজ করা যথেষ্ট, বিশেষ করে সকালে ঘুম থেকে উঠেই এবং রাতে ঘুমানোর আগে। এতে করে সারা দিনের ধুলা-ময়লা এবং তেল ত্বক থেকে দূর হয়ে ত্বক সতেজ থাকে।
তবে, অতিরিক্ত ক্লিনজিং থেকে বিরত থাকুন, কারণ এটি ত্বককে আরও শুষ্ক করে ফেলতে পারে। এমনকি অতিরিক্ত ক্লিনজিং ত্বকের আর্দ্রতা কমিয়ে ত্বককে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। প্রতিদিন সকালে এবং রাতে ক্লিনজ করার সময় কিছুক্ষণ ক্লিনজার ত্বকে ম্যাসাজ করে রাখুন, এরপর কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে নিন।
শীতে কিভাবে মৃদু কোষ দূর করবেন
শীতকালে ত্বকের শুষ্কতা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ত্বকের উপর মৃত কোষ জমে যায়, যা ত্বককে আরও শুষ্ক ও নিষ্প্রাণ করে তোলে। এজন্য নিয়মিত এক্সফোলিয়েশন বা ত্বকের মৃত কোষ দূর করার প্রয়োজন। শীতকালে সপ্তাহে ১-২ বার মৃদু এক্সফোলিয়েটর ব্যবহার করে ত্বকের মৃত কোষ দূর করা উচিৎ, তবে অতিরিক্ত এক্সফোলিয়েশন এড়িয়ে চলা ভালো। এটি ত্বকের উপর একটি স্বাস্থ্যকর উজ্জ্বলতা নিয়ে আসে এবং ত্বকের নতুন কোষকে সক্রিয় করে তোলে।
এক্সফোলিয়েশনের জন্য বাজারে বিভিন্ন ধরনের মৃদু স্ক্রাবার পাওয়া যায়, যেমন ওটমিল বা মধুযুক্ত স্ক্রাব। এই ধরনের উপাদান ত্বকের জন্য মৃদু হওয়ার পাশাপাশি প্রাকৃতিকভাবে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে। এছাড়াও ঘরে তৈরি এক্সফোলিয়েন্ট, যেমন চিনির স্ক্রাব বা কফি স্ক্রাব, ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে পারে। ত্বকে আলতো করে স্ক্রাবিং করলে ত্বক মসৃণ ও কোমল হয়ে উঠে।
তবে এক্সফোলিয়েশন শেষে ত্বক হালকা শুষ্ক হয়ে যেতে পারে, তাই তৎক্ষণাৎ একটি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত। এক্সফোলিয়েশন করার সময় খুব শক্তভাবে ঘষা থেকে বিরত থাকতে হবে, কারণ এটি ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। অতিরিক্ত শক্তভাবে ঘষলে ত্বকে জ্বালা বা র্যাশ দেখা দিতে পারে, তাই স্ক্রাবিংয়ের সময় হালকা হাতে ম্যাসাজ করতে হবে।
ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার কিভাবে করবেন
শীতকালে ময়েশ্চারাইজার হলো ত্বকের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় বন্ধু। শুষ্ক আবহাওয়ায় ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা কমে যায় এবং এটি আরও শুষ্ক হয়ে যায়, তাই প্রতিদিন ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা জরুরি। একটি হাইড্রেটিং ময়েশ্চারাইজার বেছে নেওয়া ভালো, যা ত্বকে গভীরভাবে প্রবেশ করে ত্বকের শুষ্কতা দূর করে। এছাড়া গ্লিসারিন, হায়ালুরোনিক অ্যাসিড, বা সেরামাইডস যুক্ত ময়েশ্চারাইজার ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্য উপযুক্ত।
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের সময় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি হলো স্নানের পর পরই এটি লাগানো। কারণ এই সময় ত্বক হালকা ভেজা থাকে এবং ত্বককে বেশি আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও, দিনের যেকোনো সময় ত্বক শুষ্ক মনে হলে, ময়েশ্চারাইজার পুনরায় ব্যবহার করতে পারেন।
এছাড়া রাতে ঘুমানোর আগে একটি হেভি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন, যা সারা রাত ত্বকে কাজ করবে এবং পরের দিন সকালে ত্বক উজ্জ্বল দেখাবে। শীতের সময় ময়েশ্চারাইজার অনেক বেশি কার্যকরী, কারণ এটি ত্বককে শুষ্কতার সমস্যা থেকে রক্ষা করে এবং নরম ও মসৃণ রাখে।
শীতে প্রাকৃতিক তেল দিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করবেন
শীতকালে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে প্রাকৃতিক তেল খুবই কার্যকর। নারকেল তেল, অলিভ অয়েল, বা বাদামের তেল শীতকালে ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করার জন্য ভালো পছন্দ। এই তেলগুলো ত্বকে সহজেই প্রবেশ করে এবং গভীরভাবে আর্দ্রতা প্রদান করে। ত্বকে তেল লাগানোর আগে হাতের তালুতে হালকা করে গরম করে নিন, এরপর ত্বকে ম্যাসাজ করুন।
প্রাকৃতিক তেল ত্বককে আর্দ্র করে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের রুক্ষতা কমাতে এবং ত্বকের গভীরে পুষ্টি যোগাতে কাজ করে। যারা শুষ্ক ত্বকের সমস্যায় ভুগছেন, তারা রাতে ঘুমানোর আগে ত্বকে তেল লাগিয়ে ঘুমাতে পারেন, যা সারা রাত ত্বকে কাজ করবে।
ম্যাসাজের সময় ত্বকের সংবেদনশীল অংশে বিশেষ যত্ন নিন, যেন ত্বকে কোনো ক্ষতি না হয়। সপ্তাহে অন্তত ২-৩ দিন তেল ম্যাসাজ করলে ত্বক উজ্জ্বল ও কোমল থাকে, এবং শীতকালে ত্বকের শুষ্কতা থেকে রক্ষা পায়।
শীতে ঘরে বসে সানস্ক্রিন কিভাবে ব্যবহার করবেন
শীতকালে সূর্যের তাপ কম মনে হলেও সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি ত্বকের ক্ষতি করতে পারে, তাই শীতকালেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাইরে যাওয়ার আগে ৩০ SPF বা তার চেয়ে বেশি SPF যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। এটি সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে এবং ত্বককে উজ্জ্বল রাখে।
সানস্ক্রিন শুধু মুখে নয়, বরং ঘাড়, হাত, এবং অন্য খোলা অংশেও লাগাতে হবে। শীতকালে রোদের তাপ কম মনে হলেও, রোদ থেকে ত্বককে সুরক্ষিত রাখা উচিত। সানস্ক্রিন প্রায় ১৫-২০ মিনিট আগে লাগানো উচিত, যাতে এটি ত্বকে ভালোভাবে প্রবেশ করতে পারে।
অনেকেই মনে করেন শীতকালে সানস্ক্রিন প্রয়োজন নেই, কিন্তু এটি একটি ভুল ধারণা। শীতকালেও সূর্যের রশ্মি ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, তাই প্রতিদিন সানস্ক্রিন ব্যবহার করে ত্বককে সুরক্ষিত রাখতে হবে।
শীতে ফেসিয়াল অয়েল ব্যবহার করার উপকার
শীতে ঘরে বসে ত্বকের যত্ন কিভাবে করবেন,শীতকালে ত্বকের জন্য সেরাম এবং ফেসিয়াল অয়েল ব্যবহার করা বিশেষভাবে উপকারী। সেরাম দ্রুত ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে, যা ত্বককে নরম ও মসৃণ রাখে। সেরামে সাধারণত হায়ালুরোনিক অ্যাসিড বা ভিটামিন সি-এর মতো উপাদান থাকে, যা ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সহায়তা করে। এছাড়া, একটি ভাল মানের ফেসিয়াল অয়েল ত্বককে আর্দ্র রাখার পাশাপাশি উজ্জ্বলতাও বাড়ায়।
ফেসিয়াল অয়েল লাগানোর আগে ত্বককে মৃদু করে পরিষ্কার করে নিন, যাতে তেল ত্বকে ভালোভাবে প্রবেশ করতে পারে। ময়েশ্চারাইজারের পরে কয়েক ফোঁটা ফেসিয়াল অয়েল নিয়ে ত্বকে হালকাভাবে ম্যাসাজ করুন। এটি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখবে এবং শীতের শুষ্কতা থেকে রক্ষা করবে।
যাদের ত্বক খুবই শুষ্ক, তারা রাতে ফেসিয়াল অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। ঘুমানোর আগে ত্বকে হালকাভাবে তেল ম্যাসাজ করলে তা সারা রাত ত্বকে কাজ করবে এবং সকালে ত্বক মসৃণ দেখাবে। সেরাম বা ফেসিয়াল অয়েল ব্যবহারে ত্বকের রুক্ষতা কমবে এবং ত্বককে আরও উজ্জ্বল করে তুলবে।
শীতে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করবেন
শীতকালে ঘরের শুষ্ক বাতাস ত্বকের আর্দ্রতা কমিয়ে দেয়। এজন্য ঘরে একটি হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করা যেতে পারে, যা ঘরের বাতাসে আর্দ্রতা বজায় রাখবে এবং ত্বক শুষ্কতা থেকে রক্ষা পাবে। বিশেষ করে যারা দীর্ঘ সময় ধরে ঘরের মধ্যে থাকেন, তাদের জন্য এটি খুবই উপকারী।
হিউমিডিফায়ার বাতাসে আর্দ্রতা যোগ করে, যা ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। শুষ্ক বাতাস ত্বককে আরও শুষ্ক করে তোলে এবং ত্বকের আর্দ্রতা কমিয়ে দেয়। হিউমিডিফায়ার ত্বককে এ থেকে রক্ষা করে এবং ত্বককে ময়েশ্চারাইজ রাখতে সহায়ক হয়।
এছাড়া, যারা ত্বকের অতিরিক্ত শুষ্কতা ও ফাটা ত্বকের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য ঘরে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করা অনেক ভালো ফল দেয়। এটি শুধু ত্বকের জন্য নয়, শ্বাসযন্ত্রের স্বাস্থ্যেও উপকারী। শীতকালে রাতে ঘুমানোর সময় হিউমিডিফায়ার চালিয়ে রাখলে ত্বক ও শ্বাসযন্ত্রের সুরক্ষা হয়।
শীতে পর্যাপ্ত পানি পান করা জরুরি
শীতকালে কম পানি পান করার প্রবণতা দেখা যায়, যা ত্বকের আর্দ্রতা কমিয়ে দেয়। যদিও শীতের সময় তৃষ্ণা কম লাগে, তবুও প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পানি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সহায়ক এবং শরীরের ভেতর থেকে ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে। পানি শরীরের টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে, যা ত্বককে উজ্জ্বল ও মসৃণ রাখে।
পানি ত্বকের কোষগুলোকে আর্দ্র রাখে এবং ভেতর থেকে ত্বককে হাইড্রেট করে। শীতকালে দিনে অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করার চেষ্টা করুন। যদি ঠান্ডার জন্য পানি পান করতে কষ্ট হয়, তাহলে হালকা গরম পানি বা হালকা লেবুর পানি পান করা যেতে পারে। এটি শুধু ত্বকের জন্য নয়, পুরো শরীরের জন্যও উপকারী।
পানি ত্বককে ভেতর থেকে ময়েশ্চারাইজ রাখে, যা বাইরে থেকে ত্বকের যত্ন নেওয়ার চেয়ে অনেক বেশি কার্যকরী। শীতকালে পানি কম পান করার কারণে ত্বক শুকিয়ে যেতে পারে, তাই পর্যাপ্ত পানি পান করার অভ্যাস করা খুবই জরুরি।
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যুক্ত খাদ্য গ্রহণ করবেন
শীত ঘরে বসে ত্বককে সুন্দর রাখতে খাবারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। খাদ্যে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বেশি থাকা ত্বকের জন্য বিশেষভাবে উপকারী। এটি ত্বকের কোষগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করতে এবং ত্বককে ভেতর থেকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে। বিভিন্ন রঙিন শাকসবজি, যেমন গাজর, পালং শাক, বিটরুট, এবং ফলমূল, যেমন ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি, এবং কমলালেবু অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ।
এই অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবারগুলো ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সহায়ক। বিশেষ করে শীতকালে এসব খাবার নিয়মিত খেলে ত্বক আরও সতেজ ও উজ্জ্বল থাকে। পাশাপাশি, ভিটামিন সি যুক্ত ফল যেমন কমলা, লেবু ইত্যাদি ত্বকের ইমিউন সিস্টেম বাড়াতে সাহায্য করে এবং শীতের শুষ্কতা ও ফাটার প্রবণতা কমায়।
এছাড়া, ভিটামিন ই এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত খাবার, যেমন বাদাম, আখরোট, এবং অলিভ অয়েল ত্বকের জন্য উপকারী। ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষা করতে সঠিক খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা জরুরি, এবং এটি ত্বককে সজীব ও সতেজ রাখতে সহায়ক।
শীতেকালে ঘুমালে ত্বকের উপর কি প্রভাব পরবে
শীতকালে ত্বক সুন্দর রাখতে পর্যাপ্ত ঘুমের গুরুত্ব অনেক। ঘুম ত্বককে পুনর্জীবিত করতে সাহায্য করে এবং ত্বকের কোষগুলোকে সঠিকভাবে কাজ করতে দেয়। প্রতিদিন অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো ত্বকের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। ঘুমের সময় ত্বক নিজে থেকে পুনর্গঠন প্রক্রিয়া চালায়, যার ফলে ত্বক প্রাকৃতিকভাবে আর্দ্র ও সতেজ থাকে।
পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে ত্বক শুষ্ক এবং নিষ্প্রাণ হয়ে যেতে পারে। শীতকালে ঘুমের সময় যদি ত্বকে ময়েশ্চারাইজার এবং ফেসিয়াল অয়েল লাগিয়ে ঘুমাতে পারেন, তাহলে এটি সারা রাত ত্বকে কাজ করবে। সকালে ত্বক আরও উজ্জ্বল দেখাবে এবং ত্বকের শুষ্কতা অনেকাংশে কমবে।
ঘুমের পাশাপাশি স্ট্রেস মুক্ত থাকা ত্বকের জন্য উপকারী। স্ট্রেস কমাতে মেডিটেশন, হালকা ব্যায়াম বা যোগব্যায়াম করতে পারেন। এতে শরীরের মাংসপেশি শিথিল হয় এবং ত্বকের কোষগুলো নতুন উদ্যমে কাজ করতে পারে।
শীতে ঘরের ভেতরে প্রচুর গরম রাখতে হবে
শীতকালে ঘরের বাতাস শুষ্ক হয়ে গেলে ত্বকের আর্দ্রতা হ্রাস পায়। ঘরের ভেতরে বেশি সময় থাকলে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে ঘরের আর্দ্রতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। আপনি চাইলে ঘরে কিছু পাত্রে পানি রেখে দিতে পারেন, যাতে বাতাসে আর্দ্রতা বজায় থাকে। এটি ত্বক শুষ্ক হওয়া থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করবে।
গাছ লাগানোও একটি ভালো উপায়, কারণ গাছ শুষ্ক বাতাসকে আর্দ্র করতে সহায়ক। গাছ বাড়িতে রাখতে পারলে ঘরের আর্দ্রতা বাড়ে এবং ত্বক নরম থাকে। ঘরে কিছু ইনডোর প্ল্যান্ট রাখলে ত্বকের স্বাস্থ্যও ভালো থাকে।ও
শীতকালে ঘরের তাপমাত্রা কম রাখলে এবং হিটার ব্যবহারের সময় সতর্ক থাকলে তা ত্বকের জন্য উপকারী। বেশি গরম হিটার বা বায়ু শুকানোর যন্ত্র ব্যবহার করলে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যায়, তাই সঠিকভাবে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।
শীতে মুখে ফেস মাস্ক ব্যবহার করার উপকার
শীতকালে নিয়মিত ফেস মাস্ক ব্যবহার করলে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকে এবং ত্বককে শুষ্কতা থেকে রক্ষা করা যায়। সপ্তাহে ২-৩ দিন ফেস মাস্ক ব্যবহার করলে ত্বক নরম ও উজ্জ্বল থাকে। আপনি চাইলে ঘরে তৈরি প্রাকৃতিক মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। যেমন: মধু এবং দই-এর মাস্ক, যা ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করতে সাহায্য করে।
প্রাকৃতিক ফেস মাস্কগুলো ত্বকের জন্য উপকারী কারণ এতে কোনো কেমিক্যাল নেই। মধু ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে সহায়ক এবং দই ত্বককে আর্দ্র রাখে। মধু ও দই মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিলে।শীতকালে ত্বকের যত্ন নেওয়া খুবই জরুরি, কারণ এই সময়ে ঠান্ডা ও শুষ্ক আবহাওয়া ত্বককে শুষ্ক, ফাটা এবং রুক্ষ করে তোলে।
টেকি আর্থ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url