কলা খাওয়ার ১২টি অজানা উপকারিতা
কলা খাওয়ার ১২টি অজানা উপকারিতা পেজসুচীপত্র
- কলা দ্রুত শক্তি বৃদ্ধি করে
- কলা হজমশক্তি বাড়ায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
- কলা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে
- কলা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়
- কলা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
- কলা ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করে
- কলা রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়
- কলা ওজন কমাতে সাহায্য করে
- কলা মানসিক চাপ কমায় এবং মুড উন্নত করে
- কলা অন্ত্রের সুস্থতা বজায় রাখে
- কলা দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী
- কলা শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
- উপসংহার
কলা দ্রুত শক্তি বৃদ্ধি করে
কলাতে প্রাকৃতিক শর্করা, বিশেষ করে ফ্রুকটোজ, সুক্রোজ এবং গ্লুকোজ থাকে, যা দ্রুত শরীরে শক্তি সরবরাহ করে। এটি বিশেষভাবে খেলোয়াড়দের জন্য উপকারী, কারণ খেলার আগে বা পরে কলা খেলে শরীর তাড়াতাড়ি এনার্জি ফিরে পায়। একটি মাঝারি আকারের কলা খেলে অন্তত দুই ঘণ্টা পর্যন্ত শরীর এনার্জি ধরে রাখতে পারে।
আরো পড়ুনঃশীতে ঘরে বসে ত্বকের যত্ন কিভাবে করবেন
কলার প্রাকৃতিক শর্করার পাশাপাশি এতে উচ্চ মাত্রার ফাইবারও রয়েছে, যা শরীরে ধীরে ধীরে শর্করাকে মুক্ত করে। এর ফলে রক্তে শর্করার স্তর নিয়ন্ত্রিত থাকে, যা ক্লান্তি দূর করতে সহায়ক। এটি বিশেষ করে তাদের জন্য কার্যকরী যারা দিনের মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করেন এবং এনার্জির জন্য খাবারের উপর নির্ভরশীল।
ফাইবারের পাশাপাশি কলায় থাকা পটাশিয়ামও শরীরকে সজীব রাখতে সাহায্য করে। পটাশিয়াম আমাদের পেশী ও নার্ভ কার্যক্রমে সমর্থন যোগায়, ফলে আপনি এনার্জি বেশি সময় ধরে অনুভব করতে পারেন। তাই যারা নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করেন তাদের জন্য কলা একটি আদর্শ ফল।
কলা হজমশক্তি বাড়ায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
কলাতে উপস্থিত ফাইবার হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতে সহায়ক। কলার ফাইবার অন্ত্রের মধ্যে পানি শোষণ করে এবং সহজে বর্জ্য অপসারণে সাহায্য করে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। প্রতিদিন একটি কলা খেলে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়।
কলায় থাকা প্রিবায়োটিক ফাইবার অন্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়াগুলোর জন্য খাবার সরবরাহ করে, যা হজম প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি অন্ত্রে অম্লীয় পদার্থের সৃষ্টি নিয়ন্ত্রণ করে এবং বদহজমের সমস্যা দূর করতে সহায়ক। যারা প্রায়ই বদহজমের সমস্যায় ভোগেন, তাদের জন্য কলা একটি প্রাকৃতিক সমাধান।
পাশাপাশি কলায় থাকে পেকটিন নামক একটি বিশেষ ধরনের ফাইবার, যা শরীর থেকে টক্সিন অপসারণে সাহায্য করে। পেকটিন কোলন ও অন্ত্র পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে এবং খাদ্যের পুষ্টিগুণ ভালোভাবে শরীরে শোষিত হয়। ফলে, এটি শুধুমাত্র কোষ্ঠকাঠিন্য দূরই নয়, বরং হজম প্রক্রিয়া সমগ্রভাবে উন্নত করে।
কলা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে
কলায় উচ্চ মাত্রার পটাশিয়াম এবং খুব কম পরিমাণে সোডিয়াম থাকে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। পটাশিয়াম রক্তনালী শিথিল করতে সাহায্য করে এবং রক্ত প্রবাহকে সহজতর করে। এটি উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য খুবই উপকারী একটি প্রাকৃতিক খাদ্য উপাদান।
আরো পড়ুনঃআমলকীর স্বাস্থ্য উপকারিতা ও প্রতিদিন কেন খাবেন
উচ্চ রক্তচাপ দীর্ঘমেয়াদী সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে এবং হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। কলায় উপস্থিত পটাশিয়াম রক্তচাপের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং এটি নিয়মিত খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণায় দেখা গেছে, পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্য উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়ক।
যারা নিয়মিত কলা খান, তাদের হার্টের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমে যায়। প্রতিদিন একটি কলা খাওয়ার মাধ্যমে আপনি আপনার শরীরকে প্রাকৃতিকভাবে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন, যা স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য অপরিহার্য।
কলা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়
কলায় থাকা পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম মস্তিষ্কের কার্যক্রমকে উদ্দীপিত করে। পটাশিয়াম আমাদের নিউরনের যোগাযোগ উন্নত করে, যার ফলে আমাদের মনোযোগ এবং তথ্য প্রক্রিয়াকরণের দক্ষতা বাড়ে। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী বা অফিসের কর্মীরা কলা খেলে তাদের স্মৃতিশক্তি উন্নত হয়।
আরো পড়ুনঃদ্রত ওজন কমানোর জন্য ৭টি প্রমানিত টিপস
কলায় উপস্থিত অ্যামিনো এসিড ট্রিপটোফ্যান মস্তিষ্কে সেরোটোনিন তৈরিতে সহায়ক, যা মেজাজ উন্নত করে। তাই যারা মানসিক চাপের মধ্যে থাকেন, তারা কলা খেলে মানসিক প্রশান্তি পেতে পারেন। এটি আপনার স্ট্রেস কমাতে এবং মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে সহায়ক।
মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে নিয়মিতভাবে পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম প্রয়োজন, যা কলা সহজেই সরবরাহ করে। ফলস্বরূপ, নিয়মিত কলা খেলে মনোযোগ বৃদ্ধি পায় এবং মস্তিষ্ক দীর্ঘমেয়াদে সুস্থ থাকে।
কলা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
কলায় থাকা পটাশিয়াম এবং ফাইবার হৃদযন্ত্রের জন্য অত্যন্ত উপকারী। পটাশিয়াম রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে সহায়ক, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এটি রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে এবং হৃদপিণ্ডের কার্যক্রম সুস্থ রাখে। কলায় থাকা পটাশিয়াম মস্তিষ্ক ও শরীরের অন্যান্য অংশের মতোই হৃদযন্ত্রের সঠিক কার্যক্রম বজায় রাখতে সহায়ক।
কলার ফাইবার হজমের পাশাপাশি হৃদরোগের জন্যও উপকারি। এটি রক্তের কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে, যা হৃদরোগের অন্যতম প্রধান কারণ। নিয়মিত কলা খাওয়া রক্তে LDL (খারাপ কোলেস্টেরল) কমাতে সাহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। অতএব, হৃদরোগ প্রতিরোধে কলা একটি কার্যকরী ফল।
এছাড়াও, কলায় থাকা ম্যাগনেসিয়াম রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, যা হৃদরোগের জন্য আরও একটি প্রধান ঝুঁকি। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত কলা খান, তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে কম থাকে। এটি হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
কলা ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করে
কলাতে থাকা ভিটামিন A, C, এবং E ত্বক ও চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এই ভিটামিনগুলো ত্বককে আর্দ্র রাখে এবং ত্বকের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা বাড়ায়। কলার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য ত্বককে ক্ষতিকর ইউভি রশ্মি এবং অন্যান্য পরিবেশগত ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। এটি ত্বকের বলিরেখা কমাতে সহায়ক এবং ত্বককে তরুণ রাখে।
এছাড়াও, কলার পটাশিয়াম ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে এবং শুষ্ক ত্বক থেকে মুক্তি দেয়। কলার খোসা ত্বকের উপর প্রাকৃতিক টোনার হিসেবে কাজ করে এবং ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা যেমন ব্রণ ও ফুসকুড়ি কমাতে সাহায্য করে। অনেকেই কলার খোসা ত্বকে ঘষে ব্যবহার করে, যা ত্বকের ব্রণের সমস্যা সমাধান করে।
চুলের জন্যও কলা একটি প্রাকৃতিক উপকারিতা। কলাতে থাকা ভিটামিন এবং খনিজ চুলের শিকড় শক্তিশালী করে এবং চুলকে মসৃণ ও ঝলমলে রাখে। এটি চুলের ড্যামেজ রিভার্স করে এবং চুলে প্রাকৃতিক শাইন আনে। কলা খেলে চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয় এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
কলা রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়
কলায় থাকা ফোলেট এবং ভিটামিন B6 রক্তের হিমোগ্লোবিন তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যারা রক্তাল্পতায় ভুগছেন, তাদের জন্য কলা অত্যন্ত উপকারী। এটি রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে এবং রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে কার্যকর।
কলার ভিটামিন B6 শরীরে আয়রন শোষণ বাড়াতে সাহায্য করে, যা রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরি করতে প্রয়োজনীয়। আয়রনের অভাব হলে রক্তে অক্সিজেন সঞ্চালন কমে যায়, তবে কলার মাধ্যমে এই সমস্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব।
প্রতিদিন কলা খাওয়ার মাধ্যমে আপনি সহজে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে পারবেন, যা আপনার শারীরিক শক্তি ও কর্মক্ষমতা বাড়াবে। এটি শুধু রক্তস্বল্পতার সমস্যা সমাধান করে না, বরং আপনার সাধারণ স্বাস্থ্যও উন্নত রাখে।
কলা ওজন কমাতে সাহায্য করে
কলায় থাকা ফাইবার ও প্রাকৃতিক শর্করা শরীরে দীর্ঘ সময় ধরে তৃপ্তি বজায় রাখে, যা অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমিয়ে দেয়। এটি প্রাকৃতিকভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক, কারণ এটি ক্ষুধা কমাতে সাহায্য করে। কলা খাওয়ার ফলে আপনি দীর্ঘ সময় পেট ভরা অনুভব করবেন, যা আপনাকে কম ক্যালোরি গ্রহণ করতে সহায়ক হবে।
এছাড়া, কলার কম ক্যালোরি ও উচ্চ ফাইবার উপাদান এটি একটি আদর্শ ফল হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে যারা ওজন কমাতে চান। এটি ত্বক ও হজমের জন্যও উপকারী, ফলে এটি ওজন কমানোর প্রক্রিয়ায় সহায়ক। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা কলা খেয়ে ওজন কমানোর চেষ্টা করেন, তাদের রুটিনে এটি সহায়ক হিসেবে কাজ করে।
কলাতে থাকা পটাশিয়াম শরীরে পানি ধারণ ক্ষমতা বাড়ায়, যার ফলে শরীরে অতিরিক্ত জল জমে না এবং পেট ফুলে যাওয়ার অনুভূতি কমে। এটি আপনাকে পরিপূর্নভাবে ওজন কমানোর প্রক্রিয়া সফল করতে সহায়তা করবে।
কলা মানসিক চাপ কমায় এবং মুড উন্নত করে
কলায় উপস্থিত ট্রিপটোফ্যান নামক অ্যামিনো অ্যাসিড মস্তিষ্কে সেরোটোনিন (একটি সুখ হরমোন) উৎপন্ন করতে সাহায্য করে। সেরোটোনিন আমাদের মুড ভালো রাখতে সহায়তা করে এবং মানসিক চাপ কমায়। কলা খাওয়ার ফলে এক ধরনের শান্তি এবং সুখ অনুভব করা যায়, যা মানসিক অবসাদ এবং উদ্বেগ কমাতে সহায়ক।
কলার ম্যাগনেসিয়ামও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এটি শরীরের স্নায়ু সিস্টেমকে শিথিল করতে সাহায্য করে, যার ফলে মানসিক চাপ কমে এবং শান্তির অনুভূতি হয়। বিশেষ করে যাদের স্ট্রেস বা অ্যানxiety এর সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য কলা একটি প্রাকৃতিক সমাধান হতে পারে।
এছাড়া, কলায় থাকা ভিটামিন B6, শরীরের হরমোন ব্যালেন্স বজায় রাখতে সাহায্য করে, যা মুডের ওঠানামা কমিয়ে দেয়। এই কারণে, কলা খাওয়ার মাধ্যমে আপনি মানসিক চাপ কমাতে এবং মুড উন্নত করতে সক্ষম হবেন, যা আপনার সাধারণ জীবনযাপনকে সুস্থ রাখবে।
কলা অন্ত্রের সুস্থতা বজায় রাখে
কলায় উপস্থিত প্রিবায়োটিক ফাইবার অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এই ব্যাকটেরিয়া আমাদের হজম প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, খাবার ভালোভাবে পরিপাক করে এবং টক্সিনগুলো শরীর থেকে বের করে দেয়। কলা অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটি ও বদহজমের মতো সমস্যা কমায়।
কলার পেকটিন ফাইবার ইনটেস্টাইনাল স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং এটি কোলন থেকে দূষিত পদার্থ বের করতে সহায়তা করে। কলার এই প্রভাবের কারণে এটি একটি শক্তিশালী প্রাকৃতিক ক্লিন্সার হিসেবে কাজ করে, যা শরীর থেকে টক্সিন অপসারণে সহায়ক।
এছাড়া, কলা অন্ত্রের গঠন ঠিক রাখতে এবং মাইক্রোফ্লোরার ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। নিয়মিত কলা খাওয়ার ফলে অন্ত্রের কাজের মান উন্নত হয় এবং হজমের সমস্যা যেমন ডায়রিয়া বা কনস্টিপেশন কমে। ফলে এটি আপনার শরীরের সার্বিক সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
কলা দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী
কলার খোসা দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য অপ্রত্যাশিতভাবে উপকারী হতে পারে। এতে থাকা ম্যানগানিজ এবং পটাশিয়াম দাঁতের এনামেল শক্তিশালী করতে সহায়ক। গবেষণায় দেখা গেছে যে কলার খোসা দাঁতে ঘষলে দাঁতের মলিনতা কমে এবং দাঁতের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।
কলার খোসা প্রাকৃতিকভাবে দাঁতের ক্ষয় প্রতিরোধ করে এবং সেগুলোর শক্তি বাড়ায়। এতে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান দাঁতের পেশী ও রক্তসঞ্চালন উন্নত করে, যা দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এছাড়াও, কলার খোসা দাঁতের গিঁটে জীবাণু সংক্রমণ প্রতিরোধেও সহায়ক।
এছাড়া, কলা দাঁতের মাড়ির স্বাস্থ্য রক্ষায়ও উপকারী। এটি মাড়িতে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে, যা মাড়ির প্রদাহ এবং ইনফেকশন কমাতে সহায়তা করে। তাই, দাঁত এবং মাড়ির স্বাস্থ্য উন্নত করতে কলা একটি প্রাকৃতিক উপাদান হতে পারে।
কলা শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
কলাতে থাকা ভিটামিন C শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে সহায়ক। এটি শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে উদ্দীপিত করে এবং ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ও অন্যান্য সংক্রমণের বিরুদ্ধে শরীরকে প্রতিরোধী করে তোলে। নিয়মিত কলা খেলে শরীরের ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী হয়, যা বিভিন্ন ধরনের সর্দি, কাশি ও ইনফেকশন থেকে রক্ষা করতে সহায়ক।
কলার ভিটামিন C, পাশাপাশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস এবং মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস শরীরের কোষগুলোকে সুরক্ষা প্রদান করে এবং বার্ধক্যজনিত রোগগুলোর ঝুঁকি কমায়। এটি সেলুলার স্তরে কোষের ক্ষয় এবং পরিপূর্ণতা বাড়ায়, ফলে শরীর দীর্ঘকাল সুস্থ থাকে।
এছাড়া, কলায় থাকা ম্যাঙ্গানিজ এবং অন্যান্য খনিজ উপাদান শরীরের ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়া উন্নত করতে সহায়ক, যা শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করে। তাই, কলা খেলে আপনি বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন এবং আপনার শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।
উপসংহার
কলার অজানা উপকারিতাগুলো আমাদের দৈনন্দিন স্বাস্থ্য রক্ষা ও উন্নত করার জন্য একটি প্রাকৃতিক সমাধান হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।কলায় উপস্থিত বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান যেমন পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন C, B6, এবং ফাইবার আমাদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য অপরিহার্য। মানসিক চাপ কমানো, ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করা, এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। কলা খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয় এবং আমরা দীর্ঘদিন সুস্থ থাকতে পারি।
টেকি আর্থ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url